মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রনীত ভিশন-২০২১ এবং পরবর্তীতে ভিশন ২০৪১ বাস্তবরূপ প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী ব্যাংক-বীমা খাত অপরিহার্য। বীমাখাতের উন্নয়ন ও প্রসার ছাড়া দেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।
নন-লাইফ বীমা কোম্পানীসমূহ নানাবিধ সমস্যার কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশের মানুষকে যথাযথ বীমা সেবা প্রদান করতে পারছে না। বীমা দাবী পরিশোধের সক্ষমতা দিন দিন হারাচ্ছে। এমতাবস্তায় বিগত কয়েক মাসে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন যৌথভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতায় এ সকল পদক্ষেপসমূহ বীমা গ্রহিতা, ব্যাংক সমূহ এবং অন্যান্য সকলের নিকট পৌছানোর জন্য বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) আজ আগষ্ট ১, ২০১৯ তারিখে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আযোজন করে।
সম্মেলনটিতে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের পক্ষে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,
১) ১৫% এর অধিক এজেন্ট কমিশন না দেওয়ার বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা।
২) আডিআরএ এর ০২-০৭-২০১৯ তারিখের সার্কুলার নম্বর নন-লাইফ ৬৪/২০১৯ প্রতিপালন।
৩) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ,বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বীমা কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের যৌথ সভা।
৪) নন-লাইফ বীমা কোম্পানীসমূহের চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত দুইটি সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত সমূহঃ
বিগত ১৯ শে জুন, ২০১৯ এবং ২৭ শে জুলাই,২০১৯ তারিখে নন-লাইফ বীমা কোম্পানী সকল চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন ঢাকা ক্লাবে দুটি সভা আয়োজন করে।
ক) ১৫% এর অধিক এজেন্ট কমিশন প্রদান এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ২-৭-২০১৯ তারিখে নন-লাইফ ৬৪/২০১৯ নং সার্কুলার সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পনী কঠোরভাবে মেনে চলবে। সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পনীর বোর্ড সকল মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শাখা প্রধানগন বিষয়টির গুরুত্ব অনধাবন করে নিজ নিজ কোম্পানীর কর্যক্রম পরিচালনা করবে।
খ) কোন নন-লাইফ বীমা কোম্পানীতে কমিশন ভিত্তিতে কোম কর্মচারি/কর্মকর্তাকে নিয়েগ দেয়া যাবে না এবং এ ধরনের নিয়োগ থাকলে তা ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ এর মধ্যে বাতিল করতে হবে। শুধুমাত্র বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্সধারী এজেন্ট কে ১৫% কমিশন পরিশোধ করতে হবে।
গ) ১লা আগস্ট, ২০১৯ থেকে কোন নন-লাইফ বীমা কোম্পানী কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে অন্যন্য বীমা কোম্পানীর গ্রাহকের প্রিমিয়াম সংগ্রহে বিরত থাকবে।
ঘ) মেয়াদ পূর্তির পূর্বে কোন বীমা পলিসি নবায়ন এবং পলিসির মেয়াদ উর্ত্তিন হওয়ার পূর্বে চলতি তারিখ উল্লেখপূর্বক নতুন মেয়াদে বীমা পলসি জারি করা জাবে না।
ঙ) প্রিমিয়াম রেট যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যদি কোন কোম্পানী সঠিক রেট অনুসরন না করে, সেক্ষেত্রে েএই সংক্রান্ত অনিয়ম এর তথ্য বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে প্রদানের জন্য আহব্বান করা হলো।
চ) ব্রাঞ্চ ইনচার্জদের সাথে সভাকরে সকল সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগন তাদের কে জানিয়ে দিবেন।
ছ) আগস্ট, ২০১৯ থেকে অক্টোবর, ২০১৯ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহের শনিবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ মিনিটে সকল চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে পর্যলোচনা সভা অনুষ্টিত হবে।
সবশেষে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন’র সভাপতি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নন-লাইফ বীমা কোম্পানীসমূহের চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাগন ১লা আগস্ট, ২০১৯ থেকে ১৫% এর অধিক কমিশন প্রদান না করার বিষয়ে সম্মিলিতভাব দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস ফারজানা চৌধুরী, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জালালুল আজিম, আফতাবুল ইসলাম প্রমুখ।
।