ইন্স্যুরেন্স ক্যারিয়ার আলাপনে নিজের বীমা ক্যারিয়ারে শুরুর গল্প তুলে ধরলেন মোশাররফ হোসেন ও সাজিদুল আনোয়ার স্যার।
মোশাররফ হোসেন স্যারঃ
আমি ২০০৪ সালে আমার H.S.C পরীক্ষার পরেই একেবারে অনার্স লেভেলের শুরুতেই বীমা পেশায় যোগদান করি। কারণ হচ্ছে আমার ছাত্র অবস্থায় আমার বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের উপর পরিবারের সব দায়িত্ব পড়ে। কিন্তু তিনি আমাদের কোন দিন বুঝতে দেননি আমাদের পরিবার কিভাবে চলছে। যখন বাবা মারা যান তখন আমি মাত্র পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। ঐ সময় থেকে মা অনেক কষ্ট করে পরিবারটাকে আগলে রেখেছিলেন। আমি যখন S.S.C পরীক্ষা দেই তখন পর্যন্ত তেমন কিছুই বুঝতে পারিনি যে পরিবারের জন্য আমার কিছু দায়িত্ব আছে। যখন একটু একটু বুঝতে পারছি মায়ের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তখন থেকে ভাবতে থাকি মাকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায়। যেহেতু আমাদের পরিবারে মা ছাড়াও আমরা দুই ভাই, দুই বোন রয়েছি, আমাদের সবার লেখা পড়া ও অন্যান্য খরচ মিটাতে মার হিমশিম খেতে হচ্ছে। তখন আমি প্রাথমিক অবস্থায় ছাত্রদের দ্বারা যেটা করা খুব সহজ সেটা বেঁচে নিলাম। এবং টিউশন পড়াতে শুরু করলাম যাতে মাকে আমার লেখা পড়ার খরচ চালাতে না হয় আর এর পাশাপাশি মাকেও কিছুটা সহযোগিতা করতে পারি। এরপর যখন আমি H.S.Cতে উত্তীর্ণ হলাম। তখন আমার এক বন্ধুর সাথে পরামর্শ করলাম যে, কিভাবে লেখাপড়াটার পাশাপাশি কোন ভালো কাজ করা যায় । তাকে যখন বললাম সে আমাকে বললো দেখ তুমি যেহেতু লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু করতে চাইছো, সেহেতু আমি তোমাকে ইন্স্যুরেন্স পেশায় কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ এখানে চাকুরিতে বিশেষ কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই তোমার সময় সুযোগ বের করে কাজ করতে পারবে এবং আমি আশা করি তুমি সফল হতে পারবে। তার পরামর্শে ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিমিটেডে আমার হাতেখড়ি হয়। যদিওবা অফিসটা আমার এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় কাজটি বেশি দিন কন্টিনিউ করতে পারিনি। এরপর পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কোঃ লিমিটেডে ৫ বছর কাজ করি সেই সময়টাতে একরকম বাধ্য হয়ে ইন্স্যুরেন্স পেশায় আসি। ইন্স্যুরেন্স পেশায় আসার পর ধীরে ধীরে খুব ভালো ভাবেই চলতে থাকে আমার লেখা পড়া ও পেশাগত জীবন প্রনালী। এই ভাবেই আমি ইন্স্যুরেন্স পেশার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করি। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি আামাকে। ধন্যবাদ।
সাজিদুল আনোয়ার স্যারঃ
আমি ২০০০ সালে আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স বর্তমান মেট লাইফে যোগদান করি। আমার বড় ভাই এম রাশেদুল আনোয়ার আনসারী যার হাতে আমার হাত-খড়ি। যিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম আনসারী এজেন্সির কর্ণধার, এজেন্সি ম্যানেজার। আমি প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যার কাছে আমি জন্ম সূত্রে ঋণী তিনি হচ্ছেন আমার বাবা আর কর্ম সূত্রে যার হাত ধরে আজ এই পর্যন্ত আসা তিনি আমার বড় ভাই,যার দেখানো ও শেখানো পথে এগিয়ে যেতে যেতেই আজ আল্লাহ মহান রাবুল আলামিন আমাকে এই পর্যন্ত এনেছেন।
উপস্থাপক
মাহমুদুল ইসলাম স্যারঃ
ধন্যবাদ দুজন স্যারকে সুন্দর ও গোছানো ভাবে সবার সামনে আপনাদের ইন্স্যুরেন্স ক্যারিয়ার শুরু করার গল্প তুলে ধরার জন্য।
তো বন্ধুরা আপনারা যারা ছাত্র অবস্থায় আছেন তারা নিশ্চয়ই আমাদের দুজন অতিথির গল্প শুনে বুঝতে পেরেছেন। ছাত্র অবস্থা থেকে শুরু করে যে কোন সময় বীমা পেশায় যোগদান করতে পারেন আর এটিও বুঝতে পেরেছেন কেন বীমা পেশায় যোগদান করবেন। কারণ আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন কিভাবে বীমা পেশায় দ্রুত ক্যারিয়ারে সফলতা আনা যায়। ক্যারিয়ারে চাইলেই অল্প সময়ের মধ্যে সফল হওয়ার এটি একটি চমৎকার প্লাটফর্ম। তাই বন্ধুরা আর দেরি না করে আজই সিদ্ধান্ত নিন বীমা পেশায় যোগদান করুন, নিজের ক্যারিয়ার গঠন করুন। সকলকে শুভ কামনা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
সংকলনে,
রাহিমা আক্তার রুমা
Moderator , Insurance BD Group
[ আপনিও পারেন “Insurance BD Group (বাংলাদেশ বীমা গোষ্ঠী)” এর একজন গর্বিত সদস্য হয়ে নিজের জ্ঞানচর্চা ও বীমা শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে। আগ্রহী ব্যক্তিগন Insurance BD Group (বাংলাদেশ বীমা গোষ্ঠী) এ যুক্ত হতে এই লিংকে ক্লিক করুন- https://www.facebook.com/groups/533586794169725/ ]
।