মো: তাওহীদুল হক চৌধুরী-
ভালোবাসার চাঁদরে সন্তানদের আর কখনও জড়িয়ে ধরা হবে না নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বাছাইগাঁও গ্রামের মুহুরী বাড়ীর বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আবদুল মান্নান (৩৭) এর। নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমানো আবদুল মন্নান শুধু একজন জন্মদাতা পিতাই ছিলেন না বরং একজন আদর্শ পিতা হিসেবে তিন শিশু সন্তানদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড আমিশা পাড়া সার্ভিসিং সেলের মাধ্যমে নিয়েছিলেন একটি সঠিক জীবন বীমা পরিকল্পনা। কে জানতো? আবদুল মন্নান এভাবে চলে যাবে ! রেখে যাবে তিন এতিম শিশু আর অসহায় স্ত্রী।
উল্লেখ্য আবদুল মান্নান গত বছর প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড “আমিশাপাড়া সার্ভিসিং সেল এর মাধ্যমে মাত্র ১লক্ষ ১৬ হাজার ৪ টাকা জমা দিয়ে একটি জীবন বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রবাসে চলে যান। এই বৎসর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঈদ করার উদ্দেশ্য দেশে ফেরেন। ঈদ কিন্তু আর তার করা হলো না। আকস্মিক (স্ট্রোকে)মারা যান আবদুল মান্নান। বীমা চুক্তি অনুযায়ী প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ২২-০৪-২০১৯ ইং রোজ সোমবার আমিশাপাড়া বাজারে আনুষ্ঠানিকতা মাধ্যমে মরহুম আবদুল মান্নানের বিধবা স্ত্রী সুরমা আক্তারের হাতে ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার ২’শ আট টাকার চেক প্রদান করে। মরহুম আবদুল মান্নানের বিধবা স্ত্রী সুরমা আক্তার ব্যাংক বীমা বার্তা ডট কম এর নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিকে জানান, সন্তানদের নিয়ে আবদুল মান্নানের অনেক বড় প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু সেটা আর পূরণ হলো না। তবে একজন দায়িত্বশীল পিতা হিসেবে তিনি আমাদের জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে রেখে গেছেন আগামীতে বেচেঁ থাকার মাধ্যম।
।